০৭৮. সূরা আন নাবা
আয়াতঃ ৫০; রুকুঃ ০২; মাক্কী
পরম করুণাময় মেহেরবানী আল্লাহর নামে
﴿عَمَّ يَتَسَآءَلُونَ﴾
১। এরা কি সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাঃদ করছে?
﴿عَنِ ٱلنَّبَإِ ٱلْعَظِيمِ﴾
২। সেই বড় খবরটা সম্পর্কে কি,
﴿ٱلَّذِى هُمْ فِيهِ مُخْتَلِفُونَ﴾
৩। যে ব্যাপারে এরা নানান ধরনের কথা বলে ও ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে ফিরছে?
﴿كَلَّا سَيَعْلَمُونَ﴾
৪। কখখনো না, শীঘ্রই এরা জানতে পারবে।
﴿ثُمَّ كَلَّا سَيَعْلَمُونَ﴾
৫। হ্যাঁ, কখখনো না, শীঘ্রই এরা জানতে পারবে।
﴿أَلَمْ نَجْعَلِ ٱلْأَرْضَ مِهَـٰدًۭا﴾
৬। একথা কি সত্য নয়, আমি যমীনকে বিছানা বানিয়েছি?
﴿وَٱلْجِبَالَ أَوْتَادًۭا﴾
৭। পাহাড়গুলোকে গেঁড়ে দিয়েছি পেরেকের মতো?
﴿وَخَلَقْنَـٰكُمْ أَزْوَٰجًۭا﴾
৮। তোমাদের (নারী ও পুরুষ) জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি?
﴿وَجَعَلْنَا نَوْمَكُمْ سُبَاتًۭا﴾
৯। তোমাদের ঘুমকে করেছি শান্তির বাহন,
﴿وَجَعَلْنَا ٱلَّيْلَ لِبَاسًۭا﴾
১০। রাতকে করেছি আবরণ
﴿وَجَعَلْنَا ٱلنَّهَارَ مَعَاشًۭا﴾
১১। এবং দিনকে জীবিকা আহরণের সময়?
﴿وَبَنَيْنَا فَوْقَكُمْ سَبْعًۭا شِدَادًۭا﴾
১২। তোমাদের ওপর সাতটি মজবুত আকাশ স্থাপন করেছি
﴿وَجَعَلْنَا سِرَاجًۭا وَهَّاجًۭا﴾
১৩। এবং একটি অতি উজ্জ্বল ও উত্তপ্ত বাতি সৃষ্টি করেছি?
﴿وَأَنزَلْنَا مِنَ ٱلْمُعْصِرَٰتِ مَآءًۭ ثَجَّاجًۭا﴾
১৪। আর মেঘমালা থেকে বর্ষণ করেছি অবিরাম বৃষ্টিধারা,
﴿لِّنُخْرِجَ بِهِۦ حَبًّۭا وَنَبَاتًۭا﴾
১৫। যাতে তার সাহায্যে উৎপন্ন করতে পারি
﴿وَجَنَّـٰتٍ أَلْفَافًا﴾
১৬। শস্য, শাক সবজি ও নিবিড় বাগান?
﴿إِنَّ يَوْمَ ٱلْفَصْلِ كَانَ مِيقَـٰتًۭا﴾
১৭। নিঃসন্দেহে বিচারের দিনটি নির্ধারিত হয়েই আছে।
﴿يَوْمَ يُنفَخُ فِى ٱلصُّورِ فَتَأْتُونَ أَفْوَاجًۭا﴾
১৮। যেদিন শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে, তোমরা দলে দলে বের হয়ে আসবে।
﴿وَفُتِحَتِ ٱلسَّمَآءُ فَكَانَتْ أَبْوَٰبًۭا﴾
১৯। আকাশ খুলে দেয়া হবে, ফলে তা কেবল দরজার পর দরজায় পরিণত হবে।
﴿وَسُيِّرَتِ ٱلْجِبَالُ فَكَانَتْ سَرَابًا﴾
২০। আর পর্বতমালাকে চলমান করা হবে, ফলে তা মরীচিকায় পরিণত হবে।
﴿إِنَّ جَهَنَّمَ كَانَتْ مِرْصَادًۭا﴾
২১। আসলে জাহান্নাম একটি ফাঁদ।
﴿لِّلطَّـٰغِينَ مَـَٔابًۭا﴾
২২। বিদ্রোহীদের আবাস।
﴿لَّـٰبِثِينَ فِيهَآ أَحْقَابًۭا﴾
২৩। সেখানে তারা যুগের পর যুগ পড়ে থাকবে।
﴿لَّا يَذُوقُونَ فِيهَا بَرْدًۭا وَلَا شَرَابًا﴾
২৪। সেখানে তারা গরম পানি ও ক্ষতঝরা ছাড়া
﴿إِلَّا حَمِيمًۭا وَغَسَّاقًۭا﴾
২৫। কোন রকম ঠাণ্ডা এবং পানযোগ্য কোন জিনিসের স্বাদই পাবে না।
﴿جَزَآءًۭ وِفَاقًا﴾
২৬। (তাদের কার্যকলাপের) পূর্ণ প্রতিফল।
﴿إِنَّهُمْ كَانُوا۟ لَا يَرْجُونَ حِسَابًۭا﴾
২৭। তারা কোন হিসেব-নিকেশের আশা করতো না।
﴿وَكَذَّبُوا۟ بِـَٔايَـٰتِنَا كِذَّابًۭا﴾
২৮। আমার আয়াত গুলোকে তারা একেবারেই মিথ্যা বলে প্রত্যাখ্যান করেছিল।
﴿وَكُلَّ شَىْءٍ أَحْصَيْنَـٰهُ كِتَـٰبًۭا﴾
২৯। অথচ প্রত্যেকটি জিনিস আমি গুণে গুণে লিখে রেখেছিলাম।
﴿فَذُوقُوا۟ فَلَن نَّزِيدَكُمْ إِلَّا عَذَابًا﴾
৩০। এখন মজা বুঝ, আমি তোমাদের জন্য আযাব ছাড়া কোন জিনিসে আর কিছুই বাড়াবো না।
﴿إِنَّ لِلْمُتَّقِينَ مَفَازًا﴾
৩১। অবশ্যি মুত্তাকীদের জন্য সাফল্যের একটি স্থান রয়েছে।
﴿حَدَآئِقَ وَأَعْنَـٰبًۭا﴾
৩২। বাগ-বাগিচা, আঙুর,
﴿وَكَوَاعِبَ أَتْرَابًۭا﴾
৩৩। নবযৌবনা সমবয়সী তরুণীবৃন্দ
﴿وَكَأْسًۭا دِهَاقًۭا﴾
৩৪। এবং উচ্ছসিত পানপাত্র।
﴿لَّا يَسْمَعُونَ فِيهَا لَغْوًۭا وَلَا كِذَّٰبًۭا﴾
৩৫। সেখানে তারা শুনবে না কোন বাজে ও মিথ্যা কথা।
﴿جَزَآءًۭ مِّن رَّبِّكَ عَطَآءً حِسَابًۭا﴾
৩৬। প্রতিদান ও যথেষ্ট পুরস্কার তোমাদের রবের পক্ষ থেকে,
﴿رَّبِّ ٱلسَّمَـٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا ٱلرَّحْمَـٰنِ ۖ لَا يَمْلِكُونَ مِنْهُ خِطَابًۭا﴾
৩৭। সেই পরম করুণাময় আল্লাহর পক্ষ থেকে যিনি পৃথিবী ও আকাশসমূহের এবং তাদের মধ্যবর্তী প্রত্যেকটি জিনিসের মালিক, যার সামনে কারো কথা বলার শক্তি থাকবে না।
﴿يَوْمَ يَقُومُ ٱلرُّوحُ وَٱلْمَلَـٰٓئِكَةُ صَفًّۭا ۖ لَّا يَتَكَلَّمُونَ إِلَّا مَنْ أَذِنَ لَهُ ٱلرَّحْمَـٰنُ وَقَالَ صَوَابًۭا﴾
৩৮। যেদিন রূহ ও ফেরেশতারা সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়াবে। পরম করুণাময় যাকে অনুমতি দেবেন এবং যে ঠিক কথা বলবে, সে ছাড়া আর কেউ কথা বলবে না।
﴿ذَٰلِكَ ٱلْيَوْمُ ٱلْحَقُّ ۖ فَمَن شَآءَ ٱتَّخَذَ إِلَىٰ رَبِّهِۦ مَـَٔابًا﴾
৩৯। সেদিনটি নিশ্চিতভাবেই আসবে। এখন যার ইচ্ছা নিজের রবের দিকে ফেরার পথ ধরুক।
﴿إِنَّآ أَنذَرْنَـٰكُمْ عَذَابًۭا قَرِيبًۭا يَوْمَ يَنظُرُ ٱلْمَرْءُ مَا قَدَّمَتْ يَدَاهُ وَيَقُولُ ٱلْكَافِرُ يَـٰلَيْتَنِى كُنتُ تُرَٰبًۢا﴾
৪০। যে আযাবটি কাছে এসে গেছে সে সম্পর্কে আমি তোমাদের সতর্ক করে দিলাম। যেদিন মানুষ সেসব কিছুই দেখবে যা তার দু’টি হাত আগেই পাঠিয়ে দিয়েছে এবং কাফের বলে উঠবে, হায়! আমি যদি মাটি হতাম।
— সমাপ্ত —